ওয়ারেন্টি নিয়মাবলী
ওয়ারেন্টি সেবা গ্রহনের আগে জানুনঃ
১। সামান্তা একটি রিটেইল সেল বা খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র। তারা কোন ধরনের পন্য প্রস্তুত করে না। তাই, ওয়ারেন্টি দাবি করা পন্য ক্রেতার পক্ষ থেকে সামান্তা কম্পিউটার সরাসরি সরবরাহকারী বা উৎপাদনকারীর কাছে পাঠায়। ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে আমরা আন্তরজাতিক(পন্য ভেদে), দেশীয় এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) কর্তৃক প্রদত্ত নীতিমালা অনুসরন করি।
২। পন্যের ওয়ারেন্টি দাবি করার সময় অবশ্যই পন্যের ক্রয় রশিদ অথবা পন্য ক্রয়ের প্রমান উপস্থাপন করতে হবে, অন্যথায় ওয়ারেন্টি ক্লেইম গ্রহন করা হবে না।
৩। পন্যের সরবরাহ এবং সল্পতার উপর ভিত্তি করে ওয়ারেন্টি সম্পন্ন হওয়ার সময়কাল পরিবর্তন হতে পারে।
যেসব কারনে পন্য ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে নাঃ
১। পন্যের ক্রয় রশিদ, বিল, ইনভয়েস বা কোনরূপ ক্রয়ের প্রমানপত্র না থাকে তাবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
২। পন্যের কোন অংশ যদি পুড়ে যায়, ভেঙ্গে যায়, কোন অংশ বসে যায়, টেম্পারিং হয়, লেয়ার কাটা , মরিচা পড়া, বাকা হয়ে যাওয়া, ফাঙ্গাস পড়া, কোন পোর্টে ফাটা দাগ, ফাটা হওয়ার মত দাগ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৩। পন্যের স্টিকার বা সিরিয়াল নাম্বার উঠে যাওয়া বা অস্পষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৪। ল্যাপটপ/নোটবুক কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ব্যাটারি, চার্জার এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশের ওয়ারেন্টি ১ বছরের অধিক নয় এবং তা মূল পন্যের ওয়ারেন্টির অন্তর্ভুক্ত নয়।
৫। পন্যের কেসিং-এর ভিতরের কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন এবং সিরিয়াল নাম্বার অমিল পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৬। পন্যের লক বা হুক ভাঙ্গা অথবা খোলার চেষ্টা হয়েছে তা সনাক্ত হয় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৭। পন্যের স্ক্রিনে যদি স্ক্র্যাচ বা দাগ বেশি পড়া অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৮। পন্যের কোন যন্ত্রাংশ যদি পোকা-মাকড়ের কারনে কোনরূপ ক্ষয়ক্ষতি বা বিনষ্ট অবস্থায় পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তা অয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
৯। পন্যের স্ক্রিনে আঘাতের কারনে কোন গোলাকার বা অর্ধচন্দ্রের অনুরুপ কোন ক্ষতি সনাক্ত হলে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
১০। তরল পদার্থের ব্যবহারের কারনে পন্যের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় বা তরল পদার্থ পন্যের ভিতরে প্রবেশ করে তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
১১। পন্যের অপব্যবহারের ফলে যদি কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় তবে তা ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না।
১২। মনিটরের ডেড পিক্সেল (Dead Pixel) বা স্টাক পিক্সেল (Stuck Pixel) এর ওয়ারেন্টি ক্লেইম করতে হলে ন্যূনতম ৩ বা তার অধিক ডেড/স্টাক পিক্সেল দৃশ্যমান হতে হবে।
১৩। কোন ভঙ্গুর প্রোডাক্ট, যেমনঃ মনিটর, গ্লাস কেসিং ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি ক্লেইমে অবশ্যই পন্যের সাথে তার বক্স প্রদান করতে হবে।
১৪। যদি কোন পন্য এমন হয়ে থাকে যার গায়ে কোন সিরিয়াল থাকে না কিন্তু বাক্সে সিরিয়াল থাকে, যেমনঃ হেডফোন, ইয়ারফোন, স্মার্ট ওয়াচ, কেবল ইত্যাদি পন্যের ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে বক্স আবশ্যক।
১৫। কোন পন্য যদি ক্রেতা নিজে অথবা অননুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে মেরামত করার চেষ্টা করেন তাহলে ওয়ারেন্টি বাতিল বলে গন্য হবে।
সেলস রিটার্ন পলিসিঃ
১। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন পন্যের সরবরাহের ঘাটতি থাকলে ক্রেতাকে বিকল্প কোন পন্য গ্রহনের প্রস্তাব দেয়া হবে অথবা মুল্য ফেরত দেয়া হবে। মুল্য ফেরতের ক্ষেত্রে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পূর্ণ বিক্রয় মুল্য অথবা ব্যবহারের সময়সীমার উপর ভিত্তি করে আংশিক মুল্য ফেরত দিতে পারে।
২। ক্ষেত্রবিশেষে কোন পন্য সরবরাহ না থাকলে ক্রেতা বিকল্প পন্য নেয়ার ক্ষেত্রে আংশিক মুল্য সংযোজন (Adjustment)করতে হতে পারে।
লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি পলিসিঃ
বাজারে প্রচলিত পন্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত ঐ পন্যের ওয়ারেন্টি প্রদানকে লাইফটাইম ওয়ারেন্টি বুঝাবে। কোন পন্যের লাইফটাইম ওয়ারেন্টির আওতায় ঐ পণ্যটি মার্কেটে প্রচলিত পন্য হলে, ক্রেতা ওয়ারেন্টি সেবা প্রাপ্ত হবেন। কোন পন্য EOL (End Of Life) হিসেবে গন্য হলে অর্থাৎ যদি পণ্যটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তা আর ওয়ারেন্টির আওতায় আসবে না। পন্যের নতুন ভার্সন বাজারে আসলে তা পুরাতন ভার্সনের সাথে ওয়ারেন্টি সেবা পাবে না।
সার্ভিস ওয়ারেন্টি পলিসিঃ
সার্ভিস ওয়ারেন্টির অন্তর্ভুক্ত কোন পন্য ওয়ারেন্টি সীমার মধ্যে থাকলে তা রিপেয়ার করার জন্য কোন বাড়তি মুল্য নেয়া হবে না, তবে যদি কোন যন্ত্রাংশ পরিবর্তন বা সংযোজন করতে হলে সেই যন্ত্রাংশের মূল্য ক্রেতা পরিশোধ করবেন।
ওয়ারেন্টি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সিধান্ত পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও বাতিল করার সম্পূর্ণ অধিকার সামান্তা কম্পিউটার সংরক্ষন করে ।